শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন

পরীক্ষায় ফেল করাও কিন্তু জবর অর্জন……….?

পরীক্ষায় ফেল করাও কিন্তু জবর অর্জন……….?

অনুচয়নে: কাজী কাসেম: ছেলে পরিক্ষায় ফেল করেছে শুনে বাপ বকা-ঝকা করে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করছে–তুমি ফেল করলে কেন-তোমার লজ্জা করেনা? ছেলে খুব ঝট-পট করে উত্তর দিল-বাবা তুমি আমাকে বকা দিচ্ছ কেন? আমি তো অনেক চেষ্টা করে ফেলটা রাখতে পারছি। হেড স্যার তো আমাকে এক ক্লাস নীচে নামায়ে দিচ্ছিল। আমি তাঁদের হত পা ধরে ডিমোশনটা ঠেকাতে পারছি-বাবা তুমি একটু ভেবে দেখ-এটাও কি কম অর্জন? ছেলের যুক্তি শুনে বাপের আক্কেল গুড়ুম! রশি-বংশ দন্ড দিয়ে বেঁধে রাখা রেল ব্রিজ ভেঙে ট্রেন পপাত সলীলে গতর মেলায়ে দেওয়ায় আম আদমি অক্কা পেলেও রেল মন্ত্রী মহোদয়ের কানে পানি ঢোকেনি। তিনি বরং বাগাড়ম্বর করে বলেছেন মানুষ হামড়ি খেয়ে ট্রেনে উঠে কেন। আমি এখনো নৈতিক দায় স্বীকার করিনি এটাও কি দেশবাসীর জন্য কম গৌরবের! সড়ক পরিবহন কতূপক্ষের ভারত থেকে সদ্য আমদানি করা বাসের ছাঁদের ফুটো দিয়ে ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর’,বি আর টি বাসের যাত্রীদের মাথায় ‘এলো বান’ এটাও রেল মন্ত্রী মহোদয়ের জন্য অনেক শান্তনা!
সরকারের পেয়ারের বেয়ারা অনেক উচু পদের পাপাশক্ত লাঠিয়াল বাহিনীর কোন কর্তার বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ উঠলে লোক দেখানো যৎসামান্য ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যবস্থা দেখে কিছু সমালোচনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট উপরওয়ালা সেই ফেল ঠেকানো ছাত্রের মতই বাৎচিত করতে থাকেন। পুলিসের মহা শক্তিধর ডিআ জি মিজান সাহেবের বিরুদ্ধে বহু দিন আগে থেকে নিজ স্ত্রী বহাল তবিয়তে জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য এক মহিলাকে ছল চাতুরি- ভয় ভীতি দিয়ে বিয়ে করে আলাদা সংসার পাতা এবং ঐ বিয়ের খবর প্রকাশ করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করানোর ছাড়া এক সাংবাদিক মহিলা তার কু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া সহ নানা যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার পরেও চাকুরীতে বহাল তবীয়তে অ বস্থান নিয়ে ঠোঁট কাটা সাংবাদিকদের লেখা লিখিতে তার বিরুদ্ধে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ এই ধরণের তদন্তের শেষে তাঁকে কর্মহীন করে হেড অফিসে সংযুক্ত করা হয়। সে সব অনেক পরানো কথা। ইদানিংকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের এক পরিচালকে ঘুষ দেওয়ার ডিজিটাল সংবাদ প্রকাশ হলে হক্কলে নড়েচড়ে বসে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয় আমরা মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। বাকী খবর আমরা জানিনা। ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’-বলে একটা কথা আছে। ডি আই জি নামদার ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে প্রকাশ করে দিয়ে নিজের পাপে নিজেই ডুবতে বসেছেন। সময়মত ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাপী মরল পাঁচ জন নিয়ে।
স্বাস্থ্য বিভাগ অধিদপ্তরের এক কেরানীর ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার খতিয়ান শুনে দেশের আম-জনতার চক্ষু চড়ক গাছ ! অবশ্য সাবেক মাননীয় অর্থমন্ত্রীর ভাষার আলোকে বিচার করলে এটা কোন টাকা নয়। সেই কেরানি মহোদয় নাকি স্বপরিবারে মালয়েশিয়ায় পগার পার হয়েছেন। বজ্র আঁটুনির ফসকা গিরোর মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে পগার পার হলেন?–দিচ্ছে না কেউ হদিস তার। ইদানিং এই নিয়ে চিল্লা-পাল্লা শুরু হয়েছে । গরীব ঋষির ঘরে চোর ঢুকলে টের পেয়েও ঋষি গিন্নি চুপচাপ। চোর বেটা তার দস্যুতা শেষ করে ঘর থেকে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার পর চিল্লাতে লাগল-আমার সবকিছু লুট-পাট করে মোড়ল চলিয়া গেল হো! ঐ করিৎকর্মা কেরানি সাহেব নিরাপদে দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর আমরা সেই উড়িয়া পাহারাদারের মত গভীর রাতে চিৎকার করে বলছি-রামা হৈ-রামা হৈ ! স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সময়ের প্রতাপশালী প্রধান করণিকের নাম-আক্তার। ঐ আক্তারের অযাচিত অনভিপ্রেত কর্মকান্ডে ডাক্তারকূল সব সময় অন্যায় দাবী-দাওয়াতে বিব্রত থাকা ডাক্তারকূল আক্ষেপ করে বলত-“কি পাপ করেছিনু-হয়েছি ডাক্তার-পর জন্মে হই যেন আক্তার”।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877